আমার যা নেই তা নিয়েই যেন বেশি বিচলিত আমি। যা আছে তার সাথে পরিশ্রমকে যুক্ত করে যে সৌভাগ্য আর সুসময়কে আরো দীর্ঘায়ু দেয়া যেতে পারে সেই বিষয়টা হয়তো অনেক সময়ই চেষ্টা করা হয়ে ওঠে না।
একজন গরীব কৃষকের কাস্তে, কোদাল এবং ঝুড়ি কোনটাই ছিলো না। তাই সে প্রতিদিন তার বন্ধুর কাছ থেকে এগুলো ভাড়া নিয়ে কাজে যেতো। প্রতিদিন যা আয় হতো তা দিয়ে সংসারের সবার পেটের জ্বালা মিটাতেই শেষ হয়ে যেতো। অনেক চেষ্টা করেও কৃষক এগুলো কিনতে পারেনি। একদিন রাতে সে স্বপ্নে জানতে পারলো আগামীকাল থেকে তার শুভদিনের সূচনা হবে তার কোন সমস্যাই আর থাকবে না।
পরদিন সকালে দরজা খুলেই একটা বড় মিষ্টি কুমড়া তার উঠানে পরে থাকতে দেখলো। কৃষক বুদ্ধি করে ঐটা বাজারে বিক্রি করে একটা কাস্তে কিনলো আর কোদাল ও ঝুড়ি ভাড়া করে কাজে চলে গেলো।
তার পরদিন একই ব্যপার দরজা খুলেই আরো একটা বড় মিষ্টি কুমড়া। ঐটা বিক্রি করে কোদাল কিনে ঝুড়ি ভাড়া করে কাজে গেলো কৃষকটি।
৩য় দিনও সে কুমড়া পেলো এবং ঐটা দিয়ে ঝুড়ি কিনলো তারপর কাজে চলে গেলো।
৪র্থ দিন কৃষক চিন্তা করলো তার লুুঙ্গিটা বেশ পুড়নো হয়ে গেছে আজকে কুমড়া বিক্রি করে সে একটা নতুন লুুঙ্গি কিনবে। কিন্তু সে দরজা খুলে সৌভাগ্যের কুমড়া আর পেলো না। দরজা খুলে অপেক্ষা করতে থাকলো সকল গড়িয়ে দুপুর তারপর বিকেল কিন্তু কুমড়া সে পেলো না। কাজে যাওয়ার কথা সে ভুলেই গিয়েছিলো। অগত্যা পরিবারের সবাইকে উপোস করতে হলো ঐদিন।
———————————————————————————-
কৃষকটির যখন কিছুই ছিলোনা তখনো তার পরিবার কখনো উপোস করেনি কিন্তু আজ তার সব থেকেও পরিবারের সবাই উপোস করছে।
*** আমরা সবসময় নতুন সুযোগ আর পুরস্কারের অপেক্ষায় থাকি। কিছু একটা পেলে, স্বাভাবিক কর্তব্য-কর্ম ভুলে আরো পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। যা কিনা পরবর্তী সময়ে আমাদেরই দুর্ভোগ ডেকে আনে। ***
” যদি তুমি কোন সুযোগ পেয়ে যাও তাহলে সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাও আর তোমার স্বাভাবিক জীবনকে আরো গতিশীল করো। তাহলেই তোমার সুসময় কখনো ফুরিয়ে যাবেনা।”